Hero Image

অষ্টাদশ অধ্যায় আরম্ভ, প্রথম দফার ভোটে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তামিলনাড়ু

আগামী ছ’সপ্তাহ জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৯৬ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম ভোটার তালিকায়, এবং তার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশের বয়স ১৮ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তারই প্রথম পর্ব সদ্য শেষ হল। আরও ছ’টি পর্ব বাকি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, আসনসংখ্যার নিরিখে এই পর্বটিই বৃহত্তম। ২১টি রাজ্যে ১০২টি আসনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
মোটের উপর কী হতে চলেছে, তার জন্য আপাতত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলেও, প্রথম পর্বের কয়েকটি দিক বিশেষত উল্লেখযোগ্য। এই পর্বের নির্বাচনে নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই তামিলনাড়ু, কারণ বড় রাজ্যগুলির মধ্যে সেখানেই প্রথম সবগুলি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হল। তামিলনাড়ু গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যটিতে বিজেপি-র অশ্বমেধের ঘোড়া মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু সেটিই নয়, তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত আঞ্চলিক দলগুলির একাধিপত্য অক্ষুণ্ণ, এবং কোনও জাতীয় দলই সেই ছবিটিকে বদলাতে পারেনি।
ডিএমকে গত নির্বাচনের জোট এই নির্বাচনেও অটুট রাখতে সফল। বরং যা লক্ষণীয় তা হল, সে রাজ্যের দুই মূল বিরোধী দল, এআইএডিএমকে এবং বিজেপি-র ভোট শতাংশ। এআইএডিএমকে-র জনপ্রিয়তা হ্রাস হলে বিজেপি-র সুবিধা, এবং তার উপর নির্ভর করবে আগামীতে তামিলনাড়ু দ্রাবিড়পন্থী আন্দোলন থেকে উঠে আসা দু’টি দলের দুর্গ হিসেবেই থেকে যাবে, নাকি তাতে দাঁত ফোটাবে বিজেপি-র মতো একটি জাতীয় দল। আরও দু’টি রাজ্যের নির্বাচন আসনসংখ্যা বা রাজনৈতিক পাটিগণিতের নিরিখে ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, অন্য কারণে জরুরি।
৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে এই প্রথম বড় মাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলাফল যে রকমই হোক, দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় রাজনীতির মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এ রাজ্যে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রয়োজন ছিল। প্রথম পর্বে এই রাজ্যে স্রেফ একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন হয়েছে— উধমপুর। সেখানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই। অন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যটি হল মণিপুর। সেখানে সর্বমোট দু’টি কেন্দ্র এবং দু’টিতেই নির্বাচন শুরু হল প্রথম পর্বে। কিন্তু আউটার মণিপুর কেন্দ্রের অর্ধাংশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে দ্বিতীয় দফায়।
আশা করা যায় এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জাতিহিংসা-বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

READ ON APP