Hero Image

কলকাতায় আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, গাড়ি উলটে প্রয়াত পঙ্কজ ত্রিপাঠীর ভগ্নিপতি, সঙ্কটজনক বোন

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর পরিবারে বড় বিপদ। কলকাতা আসার পথে তাঁর ভগ্নিপতি অর্থাৎ জামাইবাবু পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর বোনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের নিসাতে, যা জিটি রোডের কাছে অবস্থিত। এই দুর্ঘটনায় তাঁর ভগ্নিপতি মারা গিয়েছেন।
এদিকে, বোনকেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।'আজ তক'-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পঙ্কজ ত্রিপাঠির বোন ধানবাদের এসএনএমএমসি হাসপাতালে ভর্তি। পরিস্থিতি সংকটজনক। ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনেরা হাসপাতালে পৌঁছান। জানা গিয়েছে, অভিনেতার বোন ও তাঁর স্বামী একটি সুইফট গাড়িতে করে গোপালগঞ্জ থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন। এই দুর্ঘটনাটি নিরসার কাছে ঘটেছিল, তারপরে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। লোক জনশক্তি পার্টির জাতীয় সভাপতি চিরাগ পাসওয়ান এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে ট্যাগ করে তিনি শোকজ্ঞাপন করেছেন।
একইসঙ্গে মুন্না তিওয়ারির সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তারা জানান, অভিনেতার শ্যালক চিত্তরঞ্জন রেলওয়েতে চাকরি করতেন। তাঁর ডিউটি ছিল রেলওয়ের জিএম অফিসে। তবে তিনি ছুটি কাটাতে গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে এসেছেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পঙ্কজ ত্রিপাঠী ধানবাদ পৌঁছাচ্ছেনএই সময় ভগ্নিপতি মুন্না তিওয়ারি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পাশের সিটে বসেছিলেন স্ত্রী সবিতা। কী ভাবে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা হচ্ছে মুন্না তিওয়ারি আর নেই।
স্বজনরা বলছেন, তারাও জানেন না কী ভাবে এ সব হয়েছে। একইসঙ্গে ধানবাদে আসতে পারেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠিরও খবর। কী ভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেসর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, দু'জনই ধানবাদ থেকে বাংলার দিকে যাচ্ছিল NH 19 ধরে। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রায় ৩ ফুট উঁচু একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি।
গাড়িটির অবস্থা দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে এটি খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। এমন সময় ডিভাইডার-এ ধাক্কা লেগে গাড়ির বনেট ভেঙে পিছনের সিটে উপরে যায়। এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে রাজেশ ওরফে মুন্না তিওয়ারি মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ নিজেই হয়তো গাড়ি চালাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জাতীয় সড়কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাকেশের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

READ ON APP