Hero Image

Supreme Court : সিসিএলই নেই হিমাচলে! বিস্মিত প্রধান বিচারপতি

এই সময়: হিমাচল প্রদেশে মহিলা সরকারি কর্মচারীদের জন্যে চাইল্ড কেয়ার লিভের কোনও ব্যবস্থাই চালু নেই শুনে প্রবল বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে সরকারি কলেজের ভূগোলের এক শিক্ষিকার সন্তান জন্মাবধি বিরল রোগে আক্রান্ত। বিশেষ ভাবে সক্ষম সেই শিশুর শরীরে বার বার অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে মা-কেও বার বারই ছুটি নিতে হয়।
প্রাপ্য সাধারণ ছুটি ফুরিয়ে যাওয়ায় শালিনী ধর্মানি নামে ওই শিক্ষিকা ১৯৭২-এর সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস (লিভ) রুল অনুযায়ী চাইল্ড কেয়ার লিভের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দেওয়া এই যুক্তিতে যে হিমাচলের সরকার নিজেদের কর্মচারীদের ছুটির ব্যবস্থায় সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস (লিভ) রুলের ৪৩-সি ধারায় চাইল্ড কেয়ার লিভের (সিসিএল) যে সংস্থান, তা অন্তর্ভুক্ত করেনি। হাইকোর্টেও সুরাহা পাননি শালিনী। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার যেহেতু সিসিএলের সংস্থান রাখেনি নিজস্ব সার্ভিস রুলে, তাই ওই শিক্ষিকার আর্জি বিবেচনা করতে অপারগ হাইকোর্ট।ফলে আইনজীবী প্রগতি নিখরার সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে হয় শালিনীকে।
মঙ্গলবার সেই আপিলেরই শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে। হিমাচলে সিসিএলের অস্তিত্বই নেই শুনে প্রবল বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। মহিলা কর্মচারীদের সন্তান পালনের বিশেষ দায়িত্বের কথা রাজ্যের আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেয় আদালত। সিসিএলের সংস্থান না-রাখা মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাঁদের অধিকার হরণের সামিল বলেও মন্তব্য করে আদালত। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, সিসিএলের ব্যবস্থা না থাকা মানে প্রকারান্তরে মহিলাদের সরকারি কাজে নিরুৎসাহিত করা, তাঁদের কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা।
এটা চলতে পারে না। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানদের মায়েদের জন্যে সাধারণ সিসিএলের অতিরিক্ত বিশেষ ছুটির সংস্থান থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করে আদালত। গোটা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হিমাচলের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কমিটিতে থাকবেন নারী ও শিশুকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের সচিব। থাকবেন রাইটস অফ পার্সনস উইথ ডিজেবিলিটি অ্যাক্টের অধীনে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার। কমিটিকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস (লিভ) রুলের ৪৩-সি ধারায় সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মরত মা সর্বোচ্চ ৭৩০ দিন সবেতন সিসিএল পেতে পারেন। অন্য ছুটির অতিরিক্ত এই সিসিএল। ২০১৬-র রাইটস অফ পার্সনস উইথ ডিজেবিলিটি অ্যাক্টে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের কথা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থারও সংস্থান রয়েছে। তার পরেও হিমাচলের শিক্ষিকাকে কেন হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে দৌড়তে হচ্ছে, সেটাই মস্ত প্রশ্ন!

READ ON APP