Hero Image

Spicy Foods Side Effects: গরমে ভুলেও খাবেন না মশলাদার খাবার, নইলে সইতে হবে ভয়াবহ সব পেটের অসুখের মার

তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। আর এমন দাবদাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে চাইলে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবারই খেতে হবে। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।

তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার এইসব নিয়ম মানতে নারাজ। তাই তাঁরা কোনও বারণ না শুনে নিয়মিত সেবন করছেন মশলাদার খাবার। আর সাধারণ জনগণের একাংশের এহেন কীর্তি দেখেই চোখ কপালে উঠছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের কথায়, এই গরমে কোনও মতেই মশলা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চলবে না।
এই ভুলটা করলে কিন্তু আদতে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে।

এতদূর পড়ার পর ভাবছেন নিশ্চয়ই, দহনদিন মশলাদার খাবার খেলে আবার কোন কোন রোগ নিতে পারে শরীরের পিছু? আর সেই বিষয়ে বিশদে জানতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব এই নিবন্ধে চোখ রাখুন। তারপর ঝটপট ডায়েটে আনুন বদল। আশা করছি, এই কাজটা সেরে ফেললেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
গ্যাস, অ্যাসিডিটির ভ্রূকুটি​

আমাদের মধ্যে অনেকেই সারা বছরই গ্যাস-অ্যাসিডিটিতে ভোগেন।

আর এইসব ব্যক্তিরা যদি এই গরমের দিনে রোজ রোজ মশলাদার খাবার সেবন করেন, তাহলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। তাই নিয়মিত গ্যাস-অ্যাসিডিটিতে ভুক্তভোগীদের অন্তত গরমের কয়েকটা দিন এইসব মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই এইসব পেটের সমস্যা থাকবে দূরে।


পিছু নিতে পারে আলসার​

পেটের আলসার একটি জটিল অসুখ। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই রোগের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর সেই কাজটি সেরে ফেলতে চাইলে আজ থেকেই অত্যধিক মশলাদার খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিন।

কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়ে। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা সকলকে মশলাদার খাবার খেতে বারণ করেন।


পড়তে পারেন বমির ফাঁদে​

এই গরমে এমনিতেই হজমক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে চট করে খাবার হজম হতে চায় না। আর তার উপর আবার যদি নিয়মিত মশলা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তাহলে যে হজমপ্রক্রিয়া একবারেই বিগড়ে যাবে। আর সেই সুবাদে সঙ্গী হতে পারে বমি বমি ভাব বা বমির মতো সমস্যা।

তাই এমন দাবদাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকেই মশলাদার খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিন।


সমস্যার অপর নাম ডায়ারিয়া​

এই গরমে বাইরের যে কোনও মশলাদার খাবার কিনে খেলে পিছু নিতে পারে ডায়ারিয়া। আর একবার এই রোগের খপ্পরে পড়লেই শরীর থেকে অত্যধিক পরিমাণে জল এবং ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে যেতে পারে। তাই এমন দহনদিনে ডায়ারিয়ার মতো জটিল একটি সমস্যার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে বেশি মশলাদার খাবার খাবেন না।

বরং চেষ্টা করুন এই সময় বাড়ির তৈরি হালকা খাবার সেবন করার। আশা করছি, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।


পেট ভালো রাখার দাওয়াই​

এই সময় হজমশক্তি বাড়াতে চাইলে দিনে অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার জলপান করতেই হবে। আর এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও যাঁরা রোদে বেরিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা আরও বেশি পরিমাণে জলপান করুন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন খান টক দই এবং ফল, শাক-সবজি। ব্যস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু অনায়াসে পেটের হাল ফেরাতে পারবেন।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।আরও পড়ুন: গরমে এই পাকা ফল খেলেই বাড়বে হজমশক্তি, সেই সঙ্গে পোক্ত হবে ইমিউনিটি​আরও পড়ুন: শরীর ঠান্ডা রেখে জলের ঘাটতি মেটাতে ডাবের জল সেরা নাকি নুন চিনির জল? পুষ্টিবিদের কথা শুনলে পাবেন সুফল

READ ON APP