Hero Image

আপনার YouTube সার্চে নজর ফেসবুকের! ফাঁস হল মেটার 'ঘোস্টবাস্টার' প্রোজেক্ট

ফেসবুক কি আপনার ব্যক্তিগত ডেটার উপর নজর রাখছে? ফের একবার সেই অভিযোগ নিয়ে জোর চর্চা টেক মহলে। এই তর্কে উঠে এসেছে মেটার একটি গোপন প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টারের নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কোর্টে কোম্পানির বিরুদ্ধে ডেটা নজরদারির অভিযোগ করা হয়েছে। ইউজারের স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক এবং অ্যামাজনে সার্চে নাকি নজর রাখছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট।
ক্যালিফোর্নিয়া ফেডেরাল কোর্টে মেটার গোস্টবাস্টার প্রোজেক্টের কথা বলা হয়েছে। যা 2016 সালে লঞ্চ করেছে কোম্পানি। টেক ক্রাঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টারের লক্ষ্য ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝা এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে স্ন্যাপচ্যাটকে টক্কর দেওয়া। স্ন্যাপচ্যাটের এনক্রিপট করা ডেটা অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করেছে ফেসবুক, এমনটা দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। আরও জানা গিয়েছে, মেটার সিইও নাকি ডেটা সংগ্রহ পদ্ধতির জন্য স্ন্যাপচ্যাটের ইউজার বেস সম্পর্কে নজরদারির উপর জোর দিয়েছেন।
এর জন্য ওনাভো নামক একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু করেছিলেন ফেসবুকের ইঞ্জিনিয়াররা। স্ন্যাপচ্যাটের তুলনায় বাজারে ফেসবুকের অবস্থান উন্নত করার জন্য এই কৌশলগত নজরদারি চালিয়েছে ফেসবুক। শুধু স্ন্যাপচ্যাট নয়, ইউটিউব এবং অ্যামাজন থেকেও ডেটা মনিটরিং করেছে ফেসবুক। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেডেরাল কোর্টের তরফে দাবি করা হয়েছে এই গোস্টবাস্টার প্রোজেক্টে একাধিক সিনিয়র ফেসবুক এক্সিকিউটিভ-সহ 41 জন আইনজীবী জড়িত রয়েছেন। ফেসবুকের তরফে প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টার লঞ্চ করা হলেও, কোম্পানির অনেক কর্মচারী এটির বিরোধিতাও করেছেন।
এনক্রিপ্ট করা তথ্য ট্র্যাক করা যে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা সে বিষয়ে উদ্বেগ করেছেন তারা। এমনকী কোম্পানির তৎকালীন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারও প্রোজেক্টের বৈধতা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন। এই বিতর্ক আরও বড় আকার ধারণ করে 2019 সালে। সেই সময় ব্যবহারকারীদের ওয়েব অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করার অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের উপর। তারপরই শুরু হয় তদন্ত। ফলস্বরূপ, 2019 সালে ওনাভো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার বন্ধ করে দেয় ফেসবুক ইঞ্জিনিয়াররা। এই প্রোজেক্টের পর ফেসবুকের গোপনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন। একাধিক ওয়েবসাইটে ভেরিফিকেশনের জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। প্রচুর মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে প্ল্যাটফর্মে। আজকাল বহু ফোনে ডিফল্ট অপশন হিসাবে আসতে শুরু করেছে এই অ্যাপ। তাই ডেটা অনুশীলনের ক্ষেত্রে ফেসবুকের মতো টেক জায়েন্টদের আরও স্বচ্ছতার আশা করছেন ব্যবহারকারীরা।

READ ON APP