Hero Image

ক্যান্সারের থাবায় সব শেষ, অকালে মৃত্যু জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতার

ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন বাংলাদেশের অভিনেতা অলিউল হক রুমি। সোমবার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অভিনেতা জিয়াউল অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রুমির মৃত্যুর বিষয়টি জানান। বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা ফারুক আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন অলিউল হক রুমি। কিছুদিন আগেই তিনি ভারতে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য।
চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করার পরে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বাংলাদেশের অভিনয় জগতেও। অভিনয়ে পরিচিত মুখ সবার কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন রুমি ভাই নামে। বাংলাদেশের মঞ্চ ও টেলিভিশন জগতে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। প্রায় তিন দশক ধরে যুক্ত অভিনয়ের সঙ্গে। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতেই বেশি অভিনয় করেন রুমি। অভিনয়ের শুরুতিন দশকের অভিনয় জীবন তাঁর। দীর্ঘ এই পথচলায় তিনি অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৮৮ সালে।
সেই বছর থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনেতা হিসাবে জীবন শুরু করেন রুমি। সেই একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে তিনি মুগ্ধ করেন দর্শকদের। দর্শকদের আনন্দ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতেই বেশি অভিনয় করেছেন রুমি। এই ভাষাতেই তিনি দর্শকদের হাসিয়েছেন এবং কাঁদিয়েছেন। অভিনয় দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি বাড়তি আনন্দ দিয়েছে দর্শকদের।
উল্লেখযোগ্য নাটক ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরুর পরে তাঁকে দেখা গিয়েছে টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’। এছাড়াও ‘প্রেসিডেন্ট সিরাজউদ্দৌলা’, ‘আকাশ চুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’ সহ একাধিক নাটকে তাঁর অভিনয় সবার নজর কাড়ে।
ইদের নাটক এবারের ইদেও বেশ কয়েকটি নাটকেও দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। বর্তমানে তাঁর অভিনীত ‘বকুলপুর’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটক দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। রুমির জন্ম বরগুনায়। তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক এবং মায়ের নাম হামিদা হক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুমি। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে।

READ ON APP